নিউজিল্যান্ডে ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বসছে বিশ্ব ক্রিকেটের একাদশ তম আসর । পর্দা নামবে ২৯ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায়। ১৯৯২ ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর দ্বিতীয়বারের মতো এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে যাচ্ছে তাসমান সাগর পারের দুই প্রতিবেশি। দুই দেশের ১৪টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ৪৯ টি ম্যাচ।
অংশগ্রহণকারী দল:
গ্রুপ এ: ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ড।
গ্রুপ বি: ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বাংলাদেশের ম্যাচ:
বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচটি হবে ১৮ই ফেব্রুয়ারি। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে স্বাগতিক অস্ট্রলিয়ার বিপক্ষে। ২১ ফেব্রুয়ারিতে দিবারাত্রির ম্যাচটি হবে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে। তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি ফাইনালের ভেন্যু মেলবোর্নে। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ৫ মার্চ বাংলাদেশ খেলবে স্কটল্যান্ডের পঞ্চম ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। দিবারাত্রির ম্যাচটি হবে মার্চের ৯ তারিখ নিউজিল্যান্ডের এ্যাডিলেডে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। দিবারাত্রির ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৩ই মার্চ হ্যামিল্টনে।
এক নজড়ে:
- আয়োজক: অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড যৌথভাবে।
- মোট ম্যাচ: আসছে বিশ্বকাপে মোট ম্যাচ হবে ৪৯ টি।
- ভেন্যু: দুই দেশের মোট ১৪টি ভেন্যুতে হবে খেলাগুলো। (অস্ট্রেলিয়া: অ্যাডিলেড, ব্রিসবেন, ক্যানবেরা, হোবার্ট, মেলবোর্ন, পার্থ, সিডনি।; নিউজিল্যান্ড: অকল্যান্ড, ক্রাইস্টচার্চ, ডানেডিন, নেলসন, নেপিয়ার, হ্যামিল্টন, ওয়েলিংটন।)
- প্রথম ম্যাচ: টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচটি হবে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে।
- প্রতিটি দলের খেলা: গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দল ছয়টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।
- সেমিফাইনাল: সেমিফাইনাল দু’টি অনুষ্ঠিত হবে সিডনি ও অকল্যান্ডে।
- ফাইনাল: ফাইনাল ম্যাচটি হবে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।
- বাংলাদেশে খেলা সম্প্রচার করবে: বাংলাদেশ টেলিভিশন, গাজী টেলিভিশন ও স্টার স্পোর্টস।
দলভিত্তিক খেলোয়াড়দের তালিকা:
বাংলাদেশ দল: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, এনামুল হক. মুমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, তাইজুল ইসলাম, আরাফাত সানি, রুবেল হোসেন, আল আমিন হোসেন, তাসকিন আহমেদ, সৌম্য সরকার।
ভারত দল: মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি (সহ-অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, অজিঙ্কা রাহানে, সুরেশ রায়না, আম্বাতি রাইডু, ইশান্ত শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মদ সামি, রবিন্দ্র জাদেজা, আকশার প্যাটেল, স্টুয়ার্ট বিনি, উমেশ যাদব, রবিচন্দ্রন অশ্বিন
পাকিস্তান দলঃ আহমেদ শেহজাদ, মোহাম্মদ হাফিজ, সরফরাজ আহমেদ, ইউনুস খান, হারিস সোহেল, মিসবাহ উল হক, উমর আকমল, সোয়েব মাকসুদ, শহীদ আফ্রিদি, ইয়াসির শাহ, মোহাম্মদ ইরফান, জুনাইদ খান, এহসান আদিল, সোহেল খান এবং ওয়াহাব রিয়াজ।
শ্রীলংকা দল: এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ (অধিনায়ক), তিলকারত্নে দিলশান, কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, লাহিরু থিরিমান্নে, দিনেশ চান্ডিমাল, দিমুথ করুনারত্নে, জীবন মেন্ডিজ, থিসারা পেরেরা, সুরঙ্গ লাকমাল, লাসিথ মালিঙ্গা, ধাম্মিকা প্রসাদ, নুয়ান কুলাসেকারা, রঙ্গনা হেরাথ, সাচিত্রা সেনানায়েকে।
ইংল্যান্ড দল: ইয়ন মরগান (অধিনায়ক), মঈন আলি, জেমস এন্ডারসন, গ্যারি ব্যালেন্স, ইয়ান বেল, রবি বোপারা, স্টুয়ার্ট ব্রড, জস বাটলার, স্টিভেন ফিন, এ্যালেক্স হেলস, ক্রিস জর্ডান, জো রুট, জেমস টেলর, জেমস ট্রেডওয়েল এবং ক্রিস ওকস।
অস্ট্রেলিয়া দল: মাইকেল ক্লার্ক (অধিনায়ক), জর্জ বেইলি (সহ-অধিনায়ক), প্যাটট্রিক কামিনস, জাভিয়ের ডোহার্টি, জেমস ফকনার, অ্যারন ফিঞ্চ, ব্র্যাড হ্যাডিন (উইকেটকিপার), জশ হ্যাজলউড, মিচেল জনসন, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, স্টিভ স্মিথ, মাইকেল স্টার্ক, ডেভিড ওয়ার্নার ও শেন ওয়াটসন।
নিউজিল্যান্ড দল: ব্রেন্ডন ম্যাকালাম(অধিনায়ক), ট্রেন্ট বোল্ট, গ্রান্ট ইলিয়ট, টম ল্যাথাম, মার্টিন গুপতিল, মিচেল ম্যাকক্লেগান, ন্যাথান ম্যাকালাম, কাইল মিলস, অ্যাডাম মিলনে, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, কেন উইলিয়ামসন, কোরে অ্যান্ডারসন, টিম সাউদি, লুক রঞ্চি ও রস টেইলর।
আফগানিস্তান দল: মোহাম্মদ নবি (অধিনায়ক), নওরোজ মঙ্গল, মোহাম্মদ আজগর, সামিউল্লাহ শিনওয়ারি, আশরাফ খান, নজিবুল্লাহ জারদান, নাসির জামাল, মারওয়েইস আশরাফ, গুলাম নাইব, হামিদ হাসান, শাহপুর জারদান, দৌলত জারদান, আফতাব আলম, মোহাম্মদ জাভেদ আহমাদি, উসমান ঘানি।
স্কটল্যান্ড দল: প্রেসটন মমসেন (অধিনায়ক), কাইল কোয়েতজার, রিচি বেরিংটন, ফ্রেডেরিক কোলম্যান, ম্যাথু কওস (উইকেটরক্ষক), জোসুয়া ডেভি, আলাসদির ইভানস, হামিশ গার্ডিনার, মাজিদ হক, মাইকেল লিস্ক, ম্যাট মাচান, কালাম ম্যাকলিয়ড, সাফিয়ান শরিফ, রবার্ট টেইলর, লেইন ওয়ার্ডল।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল: এবি ডি ভিলিয়ার্স (অধিনায়ক), হাশিম আমলা (সহ-অধিনায়ক), কাইল এ্যাবট, ফারহান বেহারদিয়েন, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), জেপি ডুমিনি, ফাফ ডু প্লেসিস, ইমরান তাহির, ডেভিড মিলার, মরনে মরকেল, ওয়েন পারনেল, এ্যার ফাঙ্গিসো, ভারনন ফিলান্ডার, রিলি রোসৌ, ডেল স্টেইন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল: জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), সুলিম্যান বেন, ড্যারেন ব্রাভো, জোনাথন কার্টার, শেল্ডন কটরেল, ক্রিস গেইল, সুনিল নারাইন, দিনেশ রামদিন, কেমার রোচ, আন্দ্রে রাসেল, ড্যারেন স্যামি, মারলন স্যামুয়েলস, লেন্ডল সিমন্স, ডোয়াইন স্মিথ, জেরোম টেইলর।
জিম্বাবুয়ে দল: এলটন চিগুম্বুরা (অধিনায়ক), সিকান্দার রাজা, রেগিস চাকাবভা, তেন্দাই চাতারা, চামু চিভাভা, ক্রেইজ আরভিন, তাফাজ্জা কামুনগোজি, হ্যামিলটন মাসাকাদজা, স্টুয়ার্ট মাতসিকেনেরি, সলোমন মিরে, মুপারিওয়া, তিনাশে পানিয়াঙ্গারা, ব্রেন্ডন টেইলর, প্রোসপার উতসেয়া এবং শেন উইলিয়ামস।
আয়ারল্যান্ড দল: উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড (অধিনায়ক), এন্ড্রু ব্যালবিরনি, পিটার চেজ, এ্যালেঙ্ কুসাক, জর্জ ডকরেল, জন মুনি, এড জয়সে, এন্ড্রু ম্যাকব্রায়ান, টিম মুরতাহ, কেভিন ও’ব্রায়ান, নিয়াল ও’ব্রায়ান, পল স্টারলিং, স্টুয়ার্ট থম্পসন, গ্যারি উইলসন ক্রেইগ ইয়ং।
সংযুক্ত আরব আমিরাত দল: মোহাম্মদ তৌকির (অধিনায়ক), খুররম খান (সহ-অধিনায়ক), স্বপনিল পাতিল, সাকলাইন হায়দার, আমজাদ জাবেদ, সায়মন আনোয়ার, আমজাদ আলী, নাসির আজিজ, রোহান মুসত্মফা, মনজুলা গুরম্নজ, আন্দ্রি বেরেনজার, ফাহাদ আল হাশমি, মুহাম্মদ নাভিদ, কামরান শাহজাদ ও কৃষ্ঞ কারাতে|
কে জিতবে এবারের বিশ্বকাপ?
প্রতিবারই বিশ্বকাপ এলে সেরার তকমাটা নিজেদের করে নেন ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। আইসিসি র্যাংকিং এর ২ নম্বরেই রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তার উপর এবার তারা স্বাগতিক। তাই ঘুরেফিরে অস্ট্রেলিয়ার নামটিই আসছে। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে আইসিসি র্যাংকিং এর ১ নম্বরে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই ক্রিকেট বিশ্বে চোকার হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকাও বিশ্বকাপ জয়ের দাবিদার হতে পারে। অন্যদিকে র্যাংকিং টেবিলে ৭ নম্বরে অবস্থান করা ভারত বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল। গত বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক যুবরাজ সিং ও অপর দুই তারকা গৌতম গাম্ভীর আর বিরেন্দর শেবাগকে ছাড়াই দল ঘোষণা করেছে ভারত! ইনজুরি-অনিশ্চয়তায় অলরাউন্ডার রবিন্দ্র জাদেজা, কন্ডিশনও দলটির প্রতিকূলে। তবে ক্যাপ্টেন কূল মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে যেকোন কিছুই করার ক্ষমতা রাখে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। যেখানে আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকবেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা বিরাট কোহলি।
ফেবারিটের তালিকায় আছে টি২০-এর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। টি২০ বিশ্বকাপের আগে এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত এশিয়া কাপের শিরোপাও ঘরে তোলে এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের দল। বছরজুড়ে দলটির সার্বিক নৈপূণ্য অবশ্য মিশ্র। অধিনায়কের সঙ্গে ফর্মে আছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারা। তবে প্রশ্ন থাকছে বোলিংয়ের পুরোধা লাসিথ মালিঙ্গাকে নিয়ে। ইনজুরি-অপারেশনের পর এখনও শতভাগ ফিট নন তিনি। সুস্থ হলেও আগের রিদমে ফিরতে পারবেন কি-না, সেই সংশয় থাকবে।
উপমহাদেশের অপর পরাশক্তি পাকিস্তান এবার বেশ বেসামাল অবস্থায় বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে। অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক ও বর্ষীয়ান ইউনুস খানের ওয়ানডে স্ট্যামিনা নিয়ে প্রশ্ন আছে। অবৈধ বোলিং এ্যাকশনের জন্য দলে নেই তুখোড় স্পিনার সাঈদ আজমল। ঠিক একই কারণে থেকেও বোলিং করতে পারবেন না মোহাম্মদ হাফিজ। বড় ভরসা হবেন অললাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। যদিও ১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে হিসেবের বাইরে থেকেই বিশ্বজয় করেছিল পাকিস্তান। সুতরাং দলটি নিয়ে আগাম মন্তব্য সত্যি কঠিন!
বাংলাদেশ দলের প্রতি শুভকামনা:
‘আশার তো শেষ নেই। পারলে তো শেষ পর্যন্ত যেতে চাই। আমরা চেষ্টা করব দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার।’ - কথাটি বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ্যই আফগান বধ। এ ম্যাচটিতে জিতলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরের ম্যাচগুলোতেও জয়ের জন্য নামার রসদ মিলবে। যে রসদ জয়ও এনে দিতে পারে। এমনটিই মনে করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ অন্তত দুটি ম্যাচ জিতবে; একটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে; আরেকটি স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে; তা ধরেই নেয়া হচ্ছে। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে হলে গ্রুপ পর্বে ৭ দলের মধ্যে পয়েন্ট তালিকায় সেরা চারে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। এ জন্য চারটি ম্যাচ জিততে হবে। তিনটি ম্যাচ জিতলে রানরেটে শেষ পর্যন্ত কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তবে চারটি ম্যাচ জিতলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে যে কোন একটি দলকে হারাতে চায় বাংলাদেশ।
ফিক্সচার:
তারিখ
|
দল
|
সময়
|
১৪ ফেব্রুয়ারী
|
শ্রীলংকা – নিউজিল্যান্ড
|
ভোর ৪ টা ০০ মি.
|
১৪ ফেব্রুয়ারী
|
ইংল্যান্ড – অস্ট্রেলিয়া
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
১৫ ফেব্রুয়ারী
|
দক্ষিণ আফ্রিকা - জিম্বাবুয়ে
|
সকাল ৭ টা ০০ মি.
|
১৫ ফেব্রুয়ারী
|
ভারত – পাকিস্তান
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
১৬ ফেব্রুয়ারী
|
ওয়েস্ট ইন্ডিজ – আয়ারল্যান্ড
|
ভোর ৪ টা ০০ মি.
|
১৭ ফেব্রুয়ারী
|
নিউজিল্যান্ড – স্কটল্যান্ড
|
ভোর ৪ টা ০০ মি.
|
১৮ ফেব্রুয়ারী
|
বাংলাদেশ – আফগানিস্তান
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
১৯ ফেব্রুয়ারী
|
জিম্বাবুয়ে – সংযুক্ত আরব আমিরাত
|
ভোর ৪ টা ০০ মি.
|
২০ ফেব্রুয়ারী
|
ইংল্যান্ড – নিউজিল্যান্ড
|
সকাল ৭ টা ০০ মি.
|
২১ ফেব্রুয়ারী
|
পাকিস্তান – ওয়েস্ট ইন্ডিজ
|
ভোর ৪ টা ০০ মি.
|
২১ ফেব্রুয়ারী
|
বাংলাদেশ – অস্ট্রেলিয়া
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
২২ ফেব্রুয়ারী
|
শ্রীলংকা – আফগানিস্তান
|
ভোর ৪ টা ০০ মি.
|
২২ ফেব্রুয়ারী
|
দক্ষিণ আফ্রিকা – ভারত
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
২৩ ফেব্রুয়ারী
|
ইংল্যান্ড – স্কটল্যান্ড
|
ভোর ৪ টা ০০ মি.
|
২৪ ফেব্রুয়ারী
|
ওয়েস্ট ইন্ডিজ – জিম্বাবুয়ে
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
২৫ ফেব্রুয়ারী
|
আয়ারল্যান্ড – সংযুক্ত আরব আমিরাত
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
২৬ ফেব্রুয়ারী
|
আফগানিস্তান – স্কটল্যান্ড
|
ভোর ৪ টা ০০ মি.
|
২৬ ফেব্রুয়ারী
|
বাংলাদেশ – শ্রীলংকা
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
২৭ ফেব্রুয়ারী
|
দক্ষিণ আফ্রিকা – ওয়েস্ট ইন্ডিজ
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
২৮ ফেব্রুয়ারী
|
অস্ট্রেলিয়া – নিউজিল্যান্ড
|
সকাল ৭ টা ০০ মি.
|
২৮ ফেব্রুয়ারী
|
ভারত – সংযুক্ত আরব আমিরাত
|
দুপুর ১২ টা ৩০ মি.
|
১ মার্চ
|
ইংল্যান্ড – শ্রীলংকা
|
ভোর ৪ টা ৩০ মি.
|
১ মার্চ
|
পাকিস্তান – জিম্বাবুয়ে
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
৩ মার্চ
|
দক্ষিণ আফ্রিকা – আয়ারল্যান্ড
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
৪ মার্চ
|
পাকিস্তান – সংযুক্ত আরব আমিরাত
|
সকাল ৭ টা ০০ মি.
|
৪ মার্চ
|
অস্ট্রেলিয়া – আফগানিস্তান
|
দুপুর ১২ টা ৩০ মি.
|
৫ মার্চ
|
ইংল্যান্ড – শ্রীলংকা
|
ভোর ৪ টা ০০ মি.
|
৫ মার্চ | বাংলাদেশ - স্কটল্যান্ড | ভোর ৪ টা ০০ মি. |
৬ মার্চ
|
ভারত – ওয়েস্ট ইন্ডিজ
|
দুপুর ১২ টা ৩০ মি.
|
৭ মার্চ
|
দক্ষিণ আফ্রিকা – পাকিস্তান
|
সকাল ৭ টা ০০ মি.
|
৭ মার্চ
|
জিম্বাবুয়ে – আয়ারল্যান্ড
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
৮ মার্চ
|
নিউজিল্যান্ড – আফগানিস্তান
|
ভোর ৪ টা ০০ মি.
|
৮ মার্চ
|
অস্ট্রেলিয়া – শ্রীলংকা
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
৯ মার্চ
|
বাংলাদেশ – ইংল্যান্ড
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
১০ মার্চ
|
ভারত – আয়ারল্যান্ড
|
সকাল ৭ টা ০০ মি.
|
১১ মার্চ
|
শ্রীলংকা – স্কটল্যান্ড
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
১২ মার্চ
|
দক্ষিণ আফ্রিকা – সংযুক্ত আরব আমিরাত
|
সকাল ৭ টা ০০ মি.
|
১৩ মার্চ
|
বাংলাদেশ – নিউজিল্যান্ড
|
সকাল ৭ টা ০০ মি.
|
১৩ মার্চ
|
ইংল্যান্ড – আফগানিস্তান
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
১৪ মার্চ
|
ভারত – জিম্বাবুয়ে
|
সকাল ৭ টা ০০ মি.
|
১৪ মার্চ
|
অস্ট্রেলিয়া – স্কটল্যান্ড
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
১৫ মার্চ
|
ওয়েস্ট ইন্ডিজ – সংযুক্ত আরব আমিরাত
|
ভোর ৪ টা ০০ মি.
|
১৫ মার্চ
|
পাকিস্তান – আয়ারল্যান্ড
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
কোয়ার্টার ফাইনাল
| ||
১৮ মার্চ
|
টিবিডি – টিবিডি
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
১৯ মার্চ
|
টিবিডি – টিবিডি
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
২০ মার্চ
|
টিবিডি – টিবিডি
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
২১ মার্চ
|
টিবিডি – টিবিডি
|
সকাল ৭ টা ০০ মি.
|
সেমিফাইনাল
| ||
২৪ মার্চ
|
টিবিডি – টিবিডি
|
সকাল ৭ টা ০০ মি.
|
২৬ মার্চ
|
টিবিডি – টিবিডি
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
ফাইনাল
| ||
২৯ মার্চ
|
টিবিডি – টিবিডি
|
সকাল ৯ টা ৩০ মি.
|
সুপার ওভার থাকছে:
২০১৫ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সুপার ওভার চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এর আগে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ থেকেই সুপার ওভার তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইসিসি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছিল বিশ্বকাপের ফাইনালে যদি কোনো ফলাফল না আসে, অথবা ম্যাচ যদি টাই হয় তাহলে উভয় দলকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে। নির্ধারিত ওভারের পর অতিরিক্ত এক ওভার বা সুপার ওভারের মাধ্যমে যেভাবে ম্যাচের নিষ্পত্তি করা হতো, এবারের বিশ্বকাপ থেকে আর তা থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইসিসির কার্যকরী কমিটি। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়া হলো।
আম্পায়ারদের তালিকা:
টুর্নামেন্টের জন্য ঘোষিত হয়েছেন ৫জন ম্যাচ রেফারির নাম। এরা হলেন ডেভিড বুন (অস্ট্রেলিয়া), ক্রিস ব্রড (ইংল্যান্ড), জেফ ক্রো (নিউজিল্যান্ড) এবং রঞ্জন মাদুগালে ও রোশন মহানাম (শ্রীলংকা)।
এলিট প্যানেল আম্পায়ার: আলিম দার (পাকিস্তান), বিলি বাউডেন (নিউজিল্যান্ড), ব্রুস অক্সানফোর্ড (অস্ট্রেলিয়া), ইয়ান গুল্ড (ইংল্যান্ড), কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলংকা), ম্যারাস ইরাসমাস (দ.আফ্রিকা), নাইজেল লং (ইংল্যান্ড), পল রাফায়েল (অস্ট্রেলিয়া), রিচার্ড লিংগর্ত (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কাটেলব্রগ (ইংল্যান্ড) এবং রড টাকার ও স্টিভ ডেভিস (অস্ট্রেলিয়া)।
আন্তর্জাতিক প্যানেল আম্পায়ার: জন ক্লয়েট (দ.আফ্রিকা), সাইমন ফ্রে (অস্ট্রেলিয়া), ক্রিস গিফিনি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), রানমোর মার্টিনেজ (শ্রীলংকা), রুচিরা পাল্লিয়াগুরু (শ্রীলংকা), রাবি সুন্দরম (ভারত) ও জোয়েল উইলসন (ওয়েস্টইন্ডিজ)।
এলিট প্যানেল আম্পায়ার: আলিম দার (পাকিস্তান), বিলি বাউডেন (নিউজিল্যান্ড), ব্রুস অক্সানফোর্ড (অস্ট্রেলিয়া), ইয়ান গুল্ড (ইংল্যান্ড), কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলংকা), ম্যারাস ইরাসমাস (দ.আফ্রিকা), নাইজেল লং (ইংল্যান্ড), পল রাফায়েল (অস্ট্রেলিয়া), রিচার্ড লিংগর্ত (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কাটেলব্রগ (ইংল্যান্ড) এবং রড টাকার ও স্টিভ ডেভিস (অস্ট্রেলিয়া)।
আন্তর্জাতিক প্যানেল আম্পায়ার: জন ক্লয়েট (দ.আফ্রিকা), সাইমন ফ্রে (অস্ট্রেলিয়া), ক্রিস গিফিনি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), রানমোর মার্টিনেজ (শ্রীলংকা), রুচিরা পাল্লিয়াগুরু (শ্রীলংকা), রাবি সুন্দরম (ভারত) ও জোয়েল উইলসন (ওয়েস্টইন্ডিজ)।
এবারের বিশ্বকাপে যা কিছু নতুন:
ফিল্ডিংয়ের বাধ্যবাধকতা ও পাওয়ার প্লে:
২০১২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার নিয়ম-নীতিতে অভিনব কিছু পরিবর্তন আনে। এর অন্যতম হলো পাওয়ার প্লে প্রবর্তন ও ফিল্ডিং প্লেসমেন্টে বাধ্যবাধকতা। নতুন এই রীতিতে দুটি পাওয়ার প্লে ব্যবহার করা হয়। প্রথমটি খেলার প্রথম দশ ওভারে, যখন ৩০ গজি বৃত্তের বাইরে কেবলমাত্র দুজন ফিল্ডার অবস্থান করতে পারবেন। আর দ্বিতীয়টি ব্যাট করা দলের পাওয়ার প্লে। এটা ৪০ ওভারের মধ্যেই গ্রহণ করতে হবে।
দুই নতুন বল:
আগে বল একেবারে জীর্ণ হয়ে গেলে ইনিংসের ৩৪ ওভার পর বল পরিবর্তনের নিয়ম ছিল। কিন্তু গেল বিশ্বকাপের পর উইকেটের দুই প্রান্ত থেকে দুই বল ব্যবহারের রীতি তৈরি হয়। যা অনেকটা ব্যাটিং বান্ধব পরিস্থিতির সৃষ্টি করা। বোলাররা ইনিংসের শেষ দিকে কম রিভার্স সুইং করাতে পারেন।
পার্ট টাইমাদের ভূমিকা হ্রাস:
রাহুল দ্রাবিড়ের মতে আগের বিশ্বকাপগুলোর তুলনায় এই বিশ্বকাপে পার্টটাইমারদের ভূমিকা হ্রাস পাবে। কারণ, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বাউন্সি উইকেটে তারা খুব বেশি কিছু আদায় করে নিতে পারবেন না।
পেসারদের সুইং:
উপমহাদেশে অনুষ্ঠিত গেল বিশ্বকাপে প্রথাগতভাবে স্পিনাররা দাপট দেখিয়েছেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপে তা হয়তো আর দেখা যাবে না। কারণ ঐতিহ্যগতভাবে এখানকার উইকেট পেস বান্ধব। অতিরিক্ত বাউন্স থাকে, পেসও থাকে। নিখাঁত ফাস্ট বোলাররা উইকেট থেকে সর্বেচ্চ ফায়দাটা নিতে পারেন।
চাকিং বিতর্ক পরিস্থিতি:
এবারের বিশ্বকাপে স্পিনারদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ চাকিং বিতর্ককে মাটিচাপা দেয়া। কেননা আইসিসির ব্যাপক ধরপাকড় নীতির কারণে এবারের বিশ্বকাপে খেলতে পারছেন না বিশ্বের এক নম্বর বোলার সাঈদ আজমল। আসরে উপস্থিত থাকলেও দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন বিশ্বের দুই নম্বর বোলার উইন্ডিজের সুনীল নারিনও। খেলা হবে না টাইগার বোলার সোহাগ গাজী ও শ্রীলঙ্কার সচিত্র সেনানায়েকের। এই অবস্থায় আফ্রিদির হাতে থাকবে স্পিনারদের ঝাণ্ডা।
নতুনের আবাহন:
বিশ্বজয়ীর বেশে ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। এবারের বিশ্বকাপে দেখা যাবে না ভারতীয় ক্রিকেটের ঈশ্বরকে। থাকছেন না বীরেন্দ্র শেবাগ, গৌতম গাম্ভীর, জহির খান, মুত্তিয়া মুরালিধরন, রিকি পন্টিং ও কেভিন পিটারসেনরা। সেই শূন্যস্থানে আসন দখল করতে আসছেন বিরাট কোহলি, কোরি অ্যান্ডারসন, অ্যারন ফিঞ্চ, মঈন আলি, মুমিনুল হক সৌরভরা।
ডিআরএস ও প্রযুক্তি:
ক্রিকেটের বিশ্বমোড়ল ভারতের আপত্তিতে ক্রিকেটে সর্বজনীন হতে পারেনি ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস)। তবে বিশ্বকাপে খণ্ডিত রূপে দেখা যাবে এই পদ্ধতির ব্যবহার। সাথে উপরি পাওয়া হিসেবে থাকবে হট স্পট ও রিয়াল টাইম স্নিকোমিটারের উপস্থিতি। যা ২০১১ বিশ্বকাপে ছিল না। তাছাড়া বল ট্রাকিং প্রযুক্তির ব্যবহারও হবে এবারের আসরে।
প্রাইজমানির বর্ধন:
এবারের বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে পুরস্কার হিসেবে বরাদ্দ ছিল ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এবার তা দুই মিলিয়ন বেড়ে ১০ মিলিয়নে গিয়ে ঠেকেছে। আর বিশ্বকাপ জয়ী দল যদি অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে তাহলে তারা অতিরিক্তি আর ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ পাবে। তাছাড়া এবারই প্রথম বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক দলের জন্যই থাকছে প্রাইজমানির ব্যবস্থা।
রান রেট:
আসন্ন বিশ্বকাপে রান রেট এক্স ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে। কেননা ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে রান রেটের হিসেবেই বিজয়ী দল নির্বাচন করা হবে।
বিশ্বকাপের অফিসিয়াল অ্যাপ:
২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপের অফিসিয়াল অ্যাপ প্রকাশ করছে আইসিসি। রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের সঙ্গে যৌথভাবে এ অ্যাপটি তৈরি করেছে আইসিসি। অনলাইনে ‘অ্যাপ স্টোর’ বা ‘গুগল প্লে’ থেকে ‘দ্য আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১৫’ নামে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। নতুন এই অ্যাপটি ট্যাবলেট বা স্মার্টফোনের মাধ্যমে ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে। এর মাধ্যমে বিশ্বকাপ সম্পর্কিত আপডেট খবর পাওয়া যাবে। এখানে কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ক্রিকেটপ্রেমীরা এই অ্যাপটির মাধ্যমে অফিসিয়াল ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ ফ্যান্টাসি লিগ খেলতে পারবেন। এছাড়াও সবাই যে যার মতো করে বিশ্বকাপের সেরা একাদশ বাঁছাই করতে পারবেন। ক্রিকেট বিশ্বকাপের কুইজে অংশগ্রহণও করা যাবে এখান থেকে। গুগল প্লে ও অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস (স্মার্ট ফোন) ছাড়াও নিচের লিংক থেকে ‘দ্য আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১৫’ নামের অ্যাপটি পাওয়া যাবে।
ডাউনলোড লিংক: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.pl.cwc_2015
ডাউনলোড লিংক: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.pl.cwc_2015
টুকিটাকি কিছু তথ্য:
আসন্ন ২০১৫ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামবেন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি ও শ্রীলঙ্কা মাহেলা জয়াবর্ধনে। তবে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক ও সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত দলে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে অভিষেক হয়ে আফ্রিদি ও জয়াবর্ধনের। এরপর প্রতিটি বিশ্বকাপেই অংশগ্রহণ করেছেন তারা। ২০১৫ বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত প্রাথমিক দলেও রয়েছেন তারা। ২০০৭ ও ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিলেন জয়াবর্ধনে। এছাড়া ২০০৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছেন এই লঙ্কান ক্রিকেটার। এদিকে ১৯৯৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে খেলেছিল আফ্রিদি। আর ২০১১ বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তার অধীনে সেমিফাইনালে খেলেছিল ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ী দলটি। ওয়াসিম আকরাম, শিভনারায়ন চন্দরপল, অরবিন্দ ডি সিলভা, ইনজামামুল হক, সনাৎ জয়সুরিয়া, জ্যাক ক্যালিস, ইমরান খান, ব্রায়ান লারা, মুত্তিয়া মুরালিধরন, থমাস উদুযু, রিকি পন্টিং, অর্জুনা রানাতুঙ্গে, স্টিভ টিকলুর পাশে নাম লেখাবেন আফ্রিদি ও জয়াবর্ধনে। তারা প্রত্যেকেই পাঁচটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন। এদিকে পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ ও ভারতের শচিন টেন্ডুলকার ছয়টি বিশ্বকাপে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। বিশ্বকাপের ইতিহাসে তারাই সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ড গড়েছিলেন। আর এটাই প্রথম আইসিসি বিশ্বকাপ যেটি জাভেদ মিয়াঁদাদ বা শচিন টেন্ডুলকার ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত সবকটি বিশ্বকাপে খেলেছিলেন মিয়াঁদাদ। আর ১৯৯২ থেকে ২০১১ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলেছিলেন টেন্ডুলকার। ১৯৭৯, ১৯৮৩, ১৯৮৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ও ১৯৯২ বিশ্বকাপের ফাইনালে ও ১৯৯৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিলেন পাকিস্তানের জাভেদ। এদিকে ১৯৯৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০০৩ ও ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিলেন শচিন। এদিকে প্রথমবার ১৯৯৬ বিশ্বকাপে খেলার পর আবার বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ও কম বয়সী খেলোয়াড়কে নিয়ে দল সাজিয়েছে তারা। আমিরাতের খুররাম খান ৪৩ বছর বয়সী খেলোয়াড়। একই দলের যুধিন পুঞ্জা গত ২৪ এপ্রিল ১৫ বছরে পা দিয়েছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন