ই-মেইল এ আপডেট পেতে

We'll not spam mate! We promise.

শনিবার, ৭ মার্চ, ২০১৫

অ্যাপ রিভিউঃ ANDROID ASSISTANT

স্মার্টফোন জগতে অ্যান্ড্রয়েড এখন সবথেকে আলোচিত একটি নাম। বিগত দুই বছর ধরে আমাদের দেশে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বেশ জনপ্রিয় হওয়া শুরু করেছে। যে বিশেষ কয়েকটি সুবিধা স্মার্টফোনকে অন্যান্য ফোন থেকে আলাদা করে তার মধ্যে অন্যতম দিক হচ্ছে এর অ্যাপ সাপোর্ট। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের এতোটা জনপ্রিয়তার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে এর বিশাল অ্যাপ এর সমাহার ও দারুণ দারুণ সব গেমস। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা নিশ্চয়ই জানেন যে অ্যান্ড্রয়েড এর অ্যাপ স্টোরটি প্লে স্টোর নামে পরিচিত। প্লে স্টোর এর এতসব অ্যাপ এর মধ্যে রয়েছে অনেক দরকারী অ্যাপ আবার রয়েছে খুব একটা কাজের না এমন অনেক অ্যাপ।
আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি জনপ্রিয় একটি অ্যাপ্লিকেশন যার নাম Android Assistant. যারা এই অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে পরিচিত নন, তাদের পরিচয় করিয়ে দিতেই আমাদের আজকের এই রিভিউ।
Android Assistant অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এর তুলনায় বেশ ছোট আকারের অ্যাপ। এর সাইজ ১ এমবি থেকেও কম। রিভিউ লেখার সময় পর্যন্ত প্লেস্টোর এ অ্যাপটির রেটিং ছিল ৪.৬/৫; অতএব বুঝতেই পারছেন অ্যাপ্লিকেশনটি কতোটা জনপ্রিয়।
অ্যাপটি ওপেন করার পর আপনি খেয়াল করবেন যে এতে মূলত তিনটি প্রধান ট্যাব রয়েছে। এগুলো হচ্ছে মনিটর, প্রসেস এবং টুলস।
অ্যাপটি ওপেন করার পর এটর ডিফল্ট ট্যাবে আপনি দেখতে পারবেন আপনার ফোনের সিপিইউ কত শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে কিংবা আপনার দরকারি কাজটি করবার জন্য আপনার ফোন কত পরিমাণ র‌্যাম ব্যবহার করছে। আপনি চাইলে Quick Boost অপশনে ক্লিক/ট্যাপ করে ফোনের অনেকটা র‌্যাম ফাঁকা করে নিতে পারবেন যা এক কথায় টাস্ক কিলার এর কাজ করবে। আপনি এখান থেকে ফোনের ক্যাশ ফাইলও ক্লিন করতে পারবেন।
এছাড়াও মুল ট্যাবেই দেখতে পারবেন আপনার ফোনের ব্যাটারির চার্জ আর কত শতাংশ বাকি আছে। এর সাথে সাথে অ্যাপটি আপনাকে আপনার ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ এবং যদি এসডি কার্ড থাকে তবে সেটির স্টোরেজ সম্পর্কেও যাবতীয় তথ্য দেখাবে।
দ্বিতীয় ট্যাবে আপনি দেখতে পারবেন আপনার ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে কী কী অ্যাপ চলছে। আপনি চাইলে সেগুলো বেছে বেছে বন্ধ করে দিতে পারেন। অন্যান্য টাস্ক কিলার অ্যাপ মূলত যা করে তা হচ্ছে সেগুলো শুধুমাত্র ব্যাকগ্রাইন্ডে চলতে থাকা অ্যাপগুলোই প্রদর্শন করে। কিন্তু এই অ্যাপটি ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপগুলোর সাথে চলতে থাকা লঞ্চার, বিভিন্ন সার্ভিস এবং উইজেট কতটুকু মেমোরি ব্যবহার করছে তা সহ দেখিয়ে দেয়। এতে করে যদি কোন উইজেট অতিরিক্ত র‌্যাম ব্যবহার করে থাকে তবে আপনি তৎক্ষণাৎ তা বন্ধ করে করে দিতে পারবেন।
তৃতীয় ট্যাবটি হচ্ছে এই অ্যাপটির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ও দরকারি ফাংশনগুলোর সমন্বয়। ক্যাশ ফাইল রিমুভ করা, ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর জন্য ম্যানুয়াল সেটিংস্‌, স্টার্টআপ প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রণ করা থেকে শুরু করে প্লে স্টোর থেকে ফোনে ইন্সটল করা অ্যাপগুলোর এপিকে ফাইলগুলোকে সহজে ব্যাকআপ হিসেবে সংরক্ষণ করার মত কাজগুলো আপনি অনায়াসে করতে পারবেন এখান থেকে। এছাড়াও এতে দেয়া হয়েছে সাধারণ একটি ফাইল ম্যানেজার, যেখান থেকে আপনি আপনার ফোনের ফাইলগুলো সহজে ম্যানেজ করতে পারবেন।
এছাড়াও রয়েছে “App 2 SD” অপশন। আপনি যদি ফোনে এমন কোন অ্যাপ ইন্সটল করেন যেটি রুট ছাড়াই এক্সটারনাল মেমোরি কার্ড এ মুভএবল তাহলে অপশনটি আপনাকে স্ট্যাটাস বারে একটি নোটিফিকেশন দেখাবে। এগুলো ছাড়াও আপনি একসাথে অনেকগুলো এপিকে ফাইল ইন্সটল কিংবা আনইন্সটল করতে চাইলে এতে রয়েছে ব্যাচ ইন্সটলার ও ব্যাচ আনইন্সটলার। কিংবা যদি আপনার সাধের ডিভাইসটির ফিচার সম্বন্ধে (সিপিইউ স্পিড, সেন্সর, র‌্যাম, রম, ইত্যাদি) আরও একটু ভালোভাবে জানতে চান তাহলে সিস্টেম ইনফোতে ক্লিক করে কোন রকম ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই তা খুব সহজেই জানতে পারবেন।
গুগল প্লে স্টোর লিংকঃ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাসিসট্যান্ট 
সাধারণত দেশী ব্র্যান্ডের প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই এই অ্যাপটি ডিফল্ট ইন্সটল করে দেয়া থাকে। রিভিউটির আগে থেকেই যদি আপনি পরিচিত থাকেন Android Assistant এর সাথে তাহলে অ্যাপটি আপনার কতোটা কাজে আসছে তা নিচের মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না। আর যদি আজই প্রথম এই অ্যাপ্লিকেশনটির নাম শুনে থাকেন, তাহলে এখনই প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল করে আপনার অভিজ্ঞতা বা প্রশ্ন জানান মন্তব্যের ঘরে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন