ই-মেইল এ আপডেট পেতে

We'll not spam mate! We promise.

বুধবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৫

বাংলাদেশে জনপ্রিয় সেরা ৫টি মোটরসাইকেল


বাইক আমাদের সবারই মোটামুটি প্রিয় বাহন, একটি ছেলে তার স্কুল জীবন থেকে স্বপ্ন দেখে কলেজে, বা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবার পরে সে একটি বাইক কিনবে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বাইক একটু রিস্ক হয়ে পরে কারন আমরা বাইকার রা প্লাস রাস্তার মানুষ সচেতন না। কোন রোডে কিভাবে চলতে হবে আমরা জানি না। বাইক হাতে পাবার সাথে সাথে চোখ-কান বুঝে দে টান। প্রায় প্রতিদিনই খবরের কাগজ বা সংবাদ দেখলে দেখা যাবে বাইক এক্সিডেন্টে
মানুষ মরে যাবার ঘটনা। যায় হোক প্রিয় বাইকার ভাইয়েরা, আপনাদের কাছে আমার অনুরধ প্লীজ রাস্তাই যখন আপনার প্রিয় বাইকটি নিয়ে বের হবেন তখন একটু খেয়াল করে চালাবেন।
আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করলাম কাউন্টডাউন। যে পাঁচটি বাইক (১৫০ সিসি) আছে সবার শীর্ষে।

#০১ সুজুকি জিক্সার-

সুজুকি জিক্সার
সুজুকি তাদের নতুন মডেল জিক্সার আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বাজারে ছেড়েছে এই বছরের সেপ্টেম্বরে মাসে। বাংলাদেশের ডিলারের কাছ থেকে যতটুকু জানা যায় তাঁরা নাকি ২০১৫ সালের প্রথমেই এই বাইক বাজারে ছাড়তে পারবে। ইতিমধ্যে প্রি-অর্ডার নেয়া শুরু হয়েছে। কি কি আছে বা এই সুন্দর মোটরসাইকেল কনফিগার কি আসুন জেনে নেই সংক্ষেপে-
  • ইঙ্গিন ১৫৪.৯ সিসি, ৪-স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুলিং ইঞ্জিন।
  • ইঙ্গিন ক্ষমতা ১৪.৬ বিএইচপি, ৮০০০ আরপিএম।
  • অসাধারণ লুক সাথে ৫টি ম্যানুয়াল গিয়ার।
  • সামনের চাকার সাথে আছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিস্ক ব্রেক আর পেছনের চাকায় ব্যবহার করা হয়েছে ড্রাম ব্রেক।

  • বিস্তারিত আরও জানতে চাইলে এই লিংকে দেখুন।

#০২ ইয়ামাহা এফজি- এফআই ২.০

ইয়ামাহা এফজি- এফআই ২.০
ইয়ামাহা তাদের জনপ্রিয় সিরিজ এফজিএস এর ভার্শন ২ বাজারে এনেছে। বাইকটির মডেল আগের টার উপরে বেজ করে করা হয়েছে। জাস্ট কিছু মডিফিকেশন করা হয়েছে। তবে এটি বাজারে আসার সাথে সাথে বেশ জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। ১৫০ সিসি বাইকের ভেতরে ইয়ামাহার এখন পর্যন্ত সব থেকে বেশি বিক্রীত সিরিজ এটি। আমাদের দেশেও এই বাইকের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ করা যায়। রাস্তায় বের হলে প্রতি ৫টি বাইকের ভেতরে একটি এফজিএস চোখে পড়বে। সুজুকির মতো এটিও ২০১৫ সালের প্রথম দিকে বাজারে আসবে বলে জানা গেছে। এবার সংক্ষিপ্ত আকারে জেনে নেই বাইকটির প্রাধান প্রধান বৈশিষ্ট্য-
  • ইঙ্গিন ১৪৯সিসি, ৪-স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুলিং ইঞ্জিন।
  • ইঙ্গিন ক্ষমতা ১২.৯ বিএইচপি, ৮০০০ আরপিএম।
  • অসাধারণ লুক সাথে ৫টি ম্যানুয়াল গিয়ার।
  • এটিরও সামনের চাকার সাথে আছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিস্ক ব্রেক আর পেছনের চাকায় ব্যবহার করা হয়েছে ড্রাম ব্রেক।

  • বিস্তারিত আরও জানতে চাইলে এই লিংকে দেখুন।

#০৩ হোন্ডা সিবি ট্রিগার-

হোন্ডা সিবি ট্রিগার
তালিকার ৩ নাম্বারে অবস্থান করছে আমার প্রিয় হোন্ডা কোম্পানির সিবি ট্রিগার মডেলের নতুন বাইকটি। এটি মূলত আগের “হোন্ডা উনিক্রন” এর নতুন সংস্করণ। আগের মডেলটি খুব বেশি সুনাম কুড়াতে না পারলেও এটি কিন্তু অনেক ভালো করছে। বাজারে আশার সাথে সাথে বাইক টি বেশ সারা ফেলে দিয়েছে। আর হোন্ডা কোম্পানিটি সবসময় সবার থেকে একটু আলাদা চিন্তা করেন। যেমন এই বাইকটি, মধ্য বয়স্ক বা পোলাপাইন সবাই ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু ওপরের ২টি মডেল কিন্তু ইচ্ছা করলেই সবাই ব্যবহার করতে পারবে না বা মানাবে না। কি কি ফিচারের কারনে বাইকটি সবার নজর কেড়েছে? জেনে নেই তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা-
  • ইঙ্গিন ১৪৯.১ সিসি, ৪-স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুলিং ইঞ্জিন।
  • এক লিটার পেট্রোল খরচ করে যেতে পারে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পথ। যা অন্যান্য ১৫০ সিসির বাইকের ক্ষেত্রে প্রায় অসম্ভব।
  • ইঙ্গিন ক্ষমতা ১৪ বিএইচপি, ৮৫০০ আরপিএম।
  • সাধারণ লুক সাথে ৫টি ম্যানুয়াল গিয়ার।
  • বাইকটির সামনে পেছনে দুই চাকার সাথেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। সাথে আছে মনো সাস্পেনশন।
  • মূল্য- ২,১৭,০০০ টাকা।
  • বিস্তারিত আরও জানতে চাইলে এই লিংকে দেখুন।

#০৪ হিরো মোটর কপ এক্সট্রিম-

হিরো মোটর কপ এক্সট্রিম
কিছুদিন আগে বের হয়েছে এক্সট্রিম নামের হিরো মোটরকপের নতুন একটি মডেল। মূলত এটি আগের মডেল হিরো সিবিজেট এক্সট্রিমের নতুন ভার্শন। বাংলাদেশের বাজারে এই বাইকটি খুব বেশি বিক্রি বা সুনাম কুড়তে পারেনি। আমার মনে হয় হিরো মোটরকপ যখনি তাদের নাম হিরো হোন্ডা থেকে হিরো তে রুপান্তর করেছে তার পর থেকে ব্যবহার কারিদের এই কোম্পানির ওপর একটু অনিহা কাজ করছে (এটা আমার বেক্তি গত মতামত)। বাদবাকি আপনারা জানেন।
এখন জেনে নেয়া যাক এই বাইকটির সংক্ষিপ্ত বিবরন-
  • ইঙ্গিন ১৪৯.২ সিসি, ৪-স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুলিং ইঞ্জিন।
  • ইঙ্গিন ক্ষমতা ১৪.২ বিএইচপি, ৮৫০০ আরপিএম।
  • স্পোর্টস প্লাস বেসিক লুকের সংমিশ্রণ সাথে ৫টি ম্যানুয়াল গিয়ার।
  • বাইকটির সামনে পেছনে দুই চাকার সাথেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। সাথে আছে প্যারালাল সাস্পেনশন।
  • বাজার মূল্য সিঙ্গেল ডিস্ক ১,৯৭,০০০ টাকা আর ডবল ডিস্ক ২,১০,০০০ টাকা।
  • বিস্তারিত আরও জানতে চাইলে এই লিংকে দেখুন।

#০৫ বাজাজ পালসার-

বাজাজ পালসার
তালিকার একেবারে নিচে আছে আমাদের সবার পছন্দের বাজাজ পালসার। এই বাইকটা বাজাজের অন্যতম সৃষ্টি। এটি এমন একটি বাইক, যেই এর ওপরে বসবে বা চালাবে তাকেই মানেবে। মানে আঙ্কেল হোক বা পোলাপাইন হোক সবার জন্য ফিট। বাজাজ বহুদিন যাবত এই বাইকের মডেলের সেরকম কোন পরিবর্তন আনে নি। যা করেছে শুধু রঙের কিছুটা ভিন্নতা ব্যাস আর কিছু না। বর্তমানে যেসব আধুনিক বাইক বের হচ্ছে তার তুলনায় বাজাজ অনেক পিছিয়ে আছে। তারপরেও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই বাইকের যথেষ্ট চাহিদা আছে। যারা জানেন না তাদের জন্য সংক্ষেপ জানিয়ে দিচ্ছি বাজাজ পালসারের বৈশিষ্ট্য-
  • ইঙ্গিন ১৪৯ সিসি, ৪-স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার ডিটিএস-আই এয়ার কুলিং ইঞ্জিন।
  • ইঙ্গিন ক্ষমতা ১৪.৮ বিএইচপি, ৯০০০ আরপিএম।
  • সাধারণ লুক সাথে ৫টি ম্যানুয়াল গিয়ার।
  • সামনের চাকায় আছে ডিস্ক ব্রেক, পেছনে চাকায় ড্রাম আর সাথে আছে প্যারালাল সাস্পেনশন।
  • বাজার মূল্য ১,৯৯,৯০০ টাকা।
  • বিস্তারিত আরও জানতে চাইলে এই লিংকে দেখুন।
পরিসংখ্যান আনুজাই ছিল আজকের এই পোষ্ট। বাদবাকি আপনারা যারা ব্যবহার কারি তাঁরা ভালো বলতে পারবেন কোন বাইকটি সবার থেকে সেরা। সত্যি বলতে আমার কাছে এফজিএস কে সবার থেকে সেরা মনে হয়। এখন আপনারা বলুন আপনাদের মতামত কি?

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন