ই-মেইল এ আপডেট পেতে

We'll not spam mate! We promise.

বুধবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৫

ফেসবুকে শেয়ার করা উচিত নয় যে পাঁচ বিষয়


ফেসবুকে প্রায় সব কিছু শেয়ার করেন এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। যোগাযোগের এ এক চমৎকার মাধ্যম হওয়ার পাশাপাশি বিপদের একটি ভালো উৎসে পরিণত হতে পারে এ সাইটটি। ফেসবুকে শেয়ার করা অনেক বিষয়কে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হতে পারে ভুল বোঝাবুঝি। কখনও হ্যাকারের কবলে পড়ে অ্যাকাউন্টটিও হারাতে হতে পারে। তাই ফেসবুকে শেয়ার করা উচিত নয় কিছু তথ্য।
জন্ম তারিখ
জন্মদিনে ফেসবুকে হাজার হাজার শুভেচ্ছা বার্তা কিংবা ওয়াল পোস্ট পেতে সবাই পছন্দ করেন। কিন্তু ফেসবুকে দেয়া জন্ম তারিখটি যদি প্রকৃত জন্ম তারিখ হয় যেটি নানা দাফতরিক কাজে ব্যবহৃত হয়, তাহলে বিপদ। একান্ত গোপন এ তথ্য সাইবার দুর্বৃত্তদের হাতে চলে যাওয়া মানে বহু অ্যাকাউন্ট অনিরাপদ হয়ে পড়া। তাই নিজের ও পরিবারের পূর্ণ জন্ম তারিখ ফেসবুকে না জানানোই ভালো। আর যদি জন্ম তারিখ লিখতেই হয় সালটি লেখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস
রিলেশনশিপে আছেন কি না তা ফেসবুকে শেয়ার করা যাবে না। এতে যদি কেউ আপনার ওপর নজর রেখে থাকে তবে সে জেনে যাবে আপনি কখন একা বা সঙ্গীসহ আছেন। এতে আপনার বিপদের সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
নিজের বর্তমান অবস্থান
কিছু ব্যক্তি তার সার্বিক অবস্থান ফেসবুকে জানান দেন। কোথায় রয়েছেন সে অবস্থানও জুড়ে দেন। এতে সবাই জেনে যায় তারা কখন কোথায় আছেন। অবস্থান ট্যাগ করা থাকলে কেউ যদি কারও ক্ষতি করতে চায়, বিষয়টি তার জন্য সহজ হয়ে যায়। তাই নিজের ছুটির কথা ও ছবি বাড়ি ফেরার পর শেয়ার করাই নিরাপদ।
আপনি বাড়িতে একা
অভিভাবকদের নজর রাখা প্রয়োজন যাতে তাদের সন্তান বাড়িতে কখনই একা না থাকে। আর সন্তান যদি ফেসবুক ব্যবহারে অভ্যস্ত হয় তাহলে বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় যেন কখনই তা ফেসবুকে শেয়ার না করে। এতে দুর্বৃত্তরা সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে বিপদে ফেলতে পারে।
নিজের বা সন্তানের ছবিতে ট্যাগিং
অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী আছেন যারা তাদের সন্তানের ছবি নাম দিয়ে ট্যাগ করে পোস্ট করেন। অনেকে সন্তান জন্মের পর পরই তার ছবি হাসপাতালের ঠিকানা লিখে স্ট্যাটাস আপডেট করেন। অনেকে বন্ধু, আত্মীয়দের ছবিও ট্যাগ করে পোস্ট করেন। এটি বিপজ্জনক। ফেসবুকে ছবি আপলোড করলেও সেটি অন্য কাউকে ট্যাগ করা উচিত নয়।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন