নিত্যনতুন সব স্মার্টফোনের সাথে ক্রেতাদের পরিচয় করিয়ে দিতে দেশীয় স্মার্টফোন বাজারজাতকরণ প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের জুড়ি মেলা ভার। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তারা বাজারে এনেছে তাদের প্রিমো এস সিরিজের তৃতীয় স্মার্টফোন Primo S3, অক্টাকোর প্রসেসরের এই ফোন হতে দেশের বাজারে ওয়ালটনের তৃতীয় অক্টাকোর প্রসেসরসমৃদ্ধ স্মার্টফোন।
Primo S3 স্মার্টফোনটির সবথেকে উল্লেখযোগ্য দিক হলো এটি বর্তমানে বাজারের সবথেকে কমমূল্যের ২ গিগাবাইট র্যামবিশিষ্ট ফোন। অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪.২ কিটক্যাট অপারেটিং সিস্টেমে চালিত ওয়ালটনের এই ফোনে রয়েছে ৫ ইঞ্চির আইপিএস ডিসপ্লে, ১৬ গিগাবাইটের ইন্টারনাল মেমোরী ও ডুয়েল সিম ব্যবহারের সুবিধা। ১.৭ গিগাহার্টজ অক্টাকোর প্রসেসর চালিত ওয়ালটনের এই স্মার্টফোনে অপেক্ষাকৃত উন্নতমানের Mali-450MP4 জিপিউ ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া ওটিজি সুবিধাসম্পন্ন এই ফোনে স্পেশাল ফিচার হিসেবে রয়েছে স্মার্ট কভার টেকনোলোজি ও Anti Theft এর মতো বিশেষ নিরাপত্তা ফিচার। এই ফিচারের সাহায্যে ব্যবহারকারী তার ফোন হারিয়ে গেলে দূর থেকেই ফোন লক, ডাটা মুছে ফেলা প্রভৃতি কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
বাজারে আসা নিত্যনতুন সব স্মার্টফোনের হ্যান্ডস-অন রিভিউ পাঠকদের সামনে তুলে ধরতে প্রিয় ডট কম বরাবরই সচেষ্ট। সেই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটনের নতুন স্মার্টফোন Primo S3 এর ডিজাইন, ব্যাটারী ব্যাকআপ, গেমিং পারফরম্যান্স, বেঞ্চমার্ক স্কোর, ক্যামেরা পারফরম্যান্স প্রভৃতি বিশ্লেষণধর্মী তথ্য নিয়ে প্রিয়টেকের পাঠকদের জন্য আজ থাকছে Walton Primo S3 এর Exclusive Hands-on Review

প্রিয় পাঠক, চলুন তাহলে এবারে একনজরে Primo S3 এর উল্লেখযোগ্য ফিচারসমূহ দেখে নিই -
- অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪.২ কিটক্যাট
- ৫ ইঞ্চির আইপিএস ডিসপ্লে
- ১.৭ গিগাহার্টজ গতির অক্টাকোর প্রসেসর
- ২ গিগাবাইটের র্যাম
- মালি-৪৫০ জিপিউ
- ৮ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা
- ২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা
- ১৬ গিগাবাইটের ইন্টারনাল মেমোরী
- ডুয়েল সিম ব্যবহারের সুবিধা
- ওটিজি সাপোর্ট
- ২,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম-আয়ন পলিমার ব্যাটারী
এবারে তাহলে বিস্তারিত রিভিউয়ের দিকে যাওয়া যাক-
আনবক্সিং:
Primo S3 স্মার্টফোনটির বক্সে যা যা রয়েছে –
Primo S3 স্মার্টফোনটির বক্সে যা যা রয়েছে –
- হ্যান্ডসেট
- ব্যাটারী
- চার্জার অ্যাডাপ্টার
- ডাটা ক্যাবল
- ইয়ারফোন
- ইউজার ম্যানুয়াল
- ওয়ারেন্টি কার্ড
এছাড়া প্রতিটি Primo S3 এর সাথে ক্রেতারা পাচ্ছেন একটি আকর্ষণীয় ফ্লিপ কভার।
অপারেটিং সিস্টেমঃ
প্রিমো এস থ্রি ফোনটিতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে বর্তমানে বাজারে থাকা অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪.২ কিটক্যাট ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রিমো এস থ্রি ফোনটিতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে বর্তমানে বাজারে থাকা অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪.২ কিটক্যাট ব্যবহার করা হয়েছে।

বিল্ড কোয়ালিটি ও ডিজাইনঃ
Primo S3 স্মার্টফোনটি বেশ আকর্ষণীয় ও নজরকাড়া ডিজাইনের। এর উপরের অংশে রয়েছে ৩.৫ মিলিমিটার অডিও পোর্ট ও ইউএসবি ২.০ পোর্ট । ফোনটির একপার্শ্বের অংশে রয়েছে ভলিউম কী ও অপরপার্শ্বে পাওয়ার কী। ১৩২ মিলিমিটার উচ্চতার এই ফোনটি প্রস্থে ৭২ মিলিমিটার আর এর পুরুত্ব মাত্র ৮.৩ মিলিমিটার। বেশ হালকা গড়নের এই ফোনের ওজন মাত্র ১২৪ গ্রাম।
Primo S3 স্মার্টফোনটি বেশ আকর্ষণীয় ও নজরকাড়া ডিজাইনের। এর উপরের অংশে রয়েছে ৩.৫ মিলিমিটার অডিও পোর্ট ও ইউএসবি ২.০ পোর্ট । ফোনটির একপার্শ্বের অংশে রয়েছে ভলিউম কী ও অপরপার্শ্বে পাওয়ার কী। ১৩২ মিলিমিটার উচ্চতার এই ফোনটি প্রস্থে ৭২ মিলিমিটার আর এর পুরুত্ব মাত্র ৮.৩ মিলিমিটার। বেশ হালকা গড়নের এই ফোনের ওজন মাত্র ১২৪ গ্রাম।

প্রিমো এস থ্রি স্মার্টফোনটির পেছনের দিকে উপরের অংশে আছে রিয়ার ক্যামেরার লেন্স ও ফ্ল্যাশলাইট আর নিচের দিকে রয়েছে স্পীকার। এছাড়া সম্মুখভাগে ফ্রন্ট ক্যামেরা, সেন্সর, স্পীকার প্রভৃতি তো রয়েছেই। এই ফোনে হোম/মেনু, অপশন ও ব্যাক – এই তিনটি বাটন রয়েছে ।
ডিসপ্লেঃ
৫ ইঞ্চি আইপিএস ডিসপ্লেবিশিষ্ট এই ফোনের ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন হলো ১২৮০x৭২০ পিক্সেলের। এর ডিসপ্লের নিরাপত্তার জন্য এতে কর্নিংয়ের ২য় প্রজন্মের গরিলা গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। এর ডিসপ্লের পিক্সেল ডেনসিটি ২৯৪ পিপিআই।
৫ ইঞ্চি আইপিএস ডিসপ্লেবিশিষ্ট এই ফোনের ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন হলো ১২৮০x৭২০ পিক্সেলের। এর ডিসপ্লের নিরাপত্তার জন্য এতে কর্নিংয়ের ২য় প্রজন্মের গরিলা গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। এর ডিসপ্লের পিক্সেল ডেনসিটি ২৯৪ পিপিআই।

সিপিউঃ
সিপিউ হিসেবে এই ফোনে রয়েছে ১.৭ গিগাহার্টজ গতির অক্টাকোর প্রসেসর । উল্লেখ্য, Primo S3 দেশের বাজারে ওয়ালটনের তৃতীয় অক্টাকোর প্রসেসরসমৃদ্ধ স্মার্টফোন। দ্রুতগতির প্রসেসর থাকায় এই ফোনে মাল্টিটাস্কিং, এইচডি গেমিং প্রভৃতি বেশ স্মুথলি করা যায়।
সিপিউ হিসেবে এই ফোনে রয়েছে ১.৭ গিগাহার্টজ গতির অক্টাকোর প্রসেসর । উল্লেখ্য, Primo S3 দেশের বাজারে ওয়ালটনের তৃতীয় অক্টাকোর প্রসেসরসমৃদ্ধ স্মার্টফোন। দ্রুতগতির প্রসেসর থাকায় এই ফোনে মাল্টিটাস্কিং, এইচডি গেমিং প্রভৃতি বেশ স্মুথলি করা যায়।
চিপসেটঃ
এই ফোনে মিডিয়াটেকের ট্রু অক্টাকোর চিপসেট MT6592 ব্যবহৃত হয়েছে । উল্লেখ্য, স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোনসমূহে সাধারণত তূলনামূলক স্বল্পমূল্যের মিডিয়াটেক চিপসেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এই ফোনে মিডিয়াটেকের ট্রু অক্টাকোর চিপসেট MT6592 ব্যবহৃত হয়েছে । উল্লেখ্য, স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোনসমূহে সাধারণত তূলনামূলক স্বল্পমূল্যের মিডিয়াটেক চিপসেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

জিপিউঃ
ইতোঃপূর্বে বাজারে আসা ওয়ালটনের অধিকাংশ স্মার্টফোনে জিপিউ হিসেবে অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের মালি-৪০০ জিপিউ ব্যবহার করা হলেও প্রিমো এস-৩ স্মার্টফোনটিতে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী মালি-৪৫০ জিপিউ ব্যবহার করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে এই ফোনের গ্রাফিক্স কোয়ালিটি কিংবা গেমিং পারফরম্যান্স অন্যান্য সাধারণমানের জিপিউসমৃদ্ধ স্মার্টফোনের তুলনায় বেশ সন্তোষজনক।
ইতোঃপূর্বে বাজারে আসা ওয়ালটনের অধিকাংশ স্মার্টফোনে জিপিউ হিসেবে অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের মালি-৪০০ জিপিউ ব্যবহার করা হলেও প্রিমো এস-৩ স্মার্টফোনটিতে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী মালি-৪৫০ জিপিউ ব্যবহার করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে এই ফোনের গ্রাফিক্স কোয়ালিটি কিংবা গেমিং পারফরম্যান্স অন্যান্য সাধারণমানের জিপিউসমৃদ্ধ স্মার্টফোনের তুলনায় বেশ সন্তোষজনক।

মেমোরীঃ
Primo S3 স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ১৬ গিগাবাইটের ইন্টারনাল মেমোরী, যার মধ্যে ৩.১৭ অ্যাপ ইন্সটলের জন্য ব্যবহারযোগ্য। তবে ব্যবহারকারী চাইলে এতে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত এক্সটারনাল মেমোরী কার্ড ব্যবহার করে এর মেমোরী বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
Primo S3 স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ১৬ গিগাবাইটের ইন্টারনাল মেমোরী, যার মধ্যে ৩.১৭ অ্যাপ ইন্সটলের জন্য ব্যবহারযোগ্য। তবে ব্যবহারকারী চাইলে এতে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত এক্সটারনাল মেমোরী কার্ড ব্যবহার করে এর মেমোরী বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

র্যামঃ
এই ফোনে রয়েছে ২ গিগাবাইটের র্যাম, যার মধ্যে প্রায় ১.৮ গিগাবাইট ব্যবহারযোগ্য। র্যাম অধিক হওয়ার কারণে এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অ্যাপস ইন্সটল করলেও র্যামের প্রায় অর্ধেক ফাঁকাই থাকে। এতে Facebook, Google Chrome, Whatsapp সহ প্রয়োজনীয় নানা অ্যাপ্লিকেশন রানিং থাকার পরেও ৮৪৭ মেগাবাইট র্যাম ফাঁকা ছিলো।
এই ফোনে রয়েছে ২ গিগাবাইটের র্যাম, যার মধ্যে প্রায় ১.৮ গিগাবাইট ব্যবহারযোগ্য। র্যাম অধিক হওয়ার কারণে এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অ্যাপস ইন্সটল করলেও র্যামের প্রায় অর্ধেক ফাঁকাই থাকে। এতে Facebook, Google Chrome, Whatsapp সহ প্রয়োজনীয় নানা অ্যাপ্লিকেশন রানিং থাকার পরেও ৮৪৭ মেগাবাইট র্যাম ফাঁকা ছিলো।

ক্যামেরাঃ
Primo S3 স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা, যদিও ওয়ালতন তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে যে, এই ফোনের রিয়ার ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেলের। কিন্তু নিচের ২টি স্ক্রীনশট লক্ষ্য করলেই আশা করি ক্যামেরার বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে-
দেখুন ক্যামেরা সেটিংস এর স্ক্রীনশট –

Primo S3 স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা, যদিও ওয়ালতন তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে যে, এই ফোনের রিয়ার ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেলের। কিন্তু নিচের ২টি স্ক্রীনশট লক্ষ্য করলেই আশা করি ক্যামেরার বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে-
দেখুন ক্যামেরা সেটিংস এর স্ক্রীনশট –

AnTuTu বেঞ্চমার্ক হতে প্রাপ্ত তথ্য –


উন্নতমানের ছবি তোলা নিশ্চিত করতে এর ক্যামেরায় BSI সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া ক্যামেরায় অটোফোকাস, এলইডি ফ্ল্যাশ প্রভৃতি সুবিধাতো থাকছেই। এর ক্যামেরায় তোলা ছবির মান বেশ সন্তোষজনক।
দেখুন দিনের আলোতে এই ফোনের ক্যামেরায় তোলা ছবিঃ


এসবের পাশাপাশি সেলফি তোলা কিংবা ভিডিও কলিংয়ের জন্য আছে ২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা।
দেখুন ফ্রন্ট ক্যামেরায় তোলা ছবি-

দেখুন ফ্রন্ট ক্যামেরায় তোলা ছবি-

মাল্টিমিডিয়াঃ
Primo S3 এ রয়েছে ৩.৫ মিলিমিটারের অডিও জ্যাক। এর সাথে যে হেডফোনটি দেওয়া হয় তার সাউন্ড কোয়ালিটি মন্দ নয়, এর অডিও সাউন্ড কোয়ালিটিও বেশ সুন্দর। এই ফোনে আরো আছে এফএম রেডিও, সে সাথে থাকছে এফএম রেডিও রেকর্ডার। ফলে আপনি আপনার পছন্দের কোন রেডিও প্রোগ্রাম অনায়াসেই রেকর্ড করতে পারবেন।
Primo S3 এ রয়েছে ৩.৫ মিলিমিটারের অডিও জ্যাক। এর সাথে যে হেডফোনটি দেওয়া হয় তার সাউন্ড কোয়ালিটি মন্দ নয়, এর অডিও সাউন্ড কোয়ালিটিও বেশ সুন্দর। এই ফোনে আরো আছে এফএম রেডিও, সে সাথে থাকছে এফএম রেডিও রেকর্ডার। ফলে আপনি আপনার পছন্দের কোন রেডিও প্রোগ্রাম অনায়াসেই রেকর্ড করতে পারবেন।
আর এই ফোনের ডিসপ্লে কোয়ালিটি বেশ উন্নত হওয়ায় এতে দারুণভাবে ভিডিও উপভোগ করা যায়। এই ফোনে ১০৮০ পি ফুল এইচডি ভিডিও কোন ধরণের ল্যাগ ছাড়াই চালানো যায়।
গেমিং পারফরম্যান্সঃ
তরুণ প্রজন্মের স্মার্টফোন কেনার পেছনে গেমিংয়ের উদ্দেশ্যটাই মূখ্য ভূমিকা পালন করে। আর সেদিকে খেয়াল রেখেই হয়তো ওয়ালটন তাদের এই ফোনটি বাজারে এনেছে। অক্টাকোর প্রসেসরসমৃদ্ধ এই ফোনের গেমিং পারফরম্যান্স বেশ দারুণ। এছাড়া Primo S3 ফোনটিতে ২ গিগাবাইটের র্যাম থাকায় এতে বিভিন্ন ধরণের এইচডি গেম বেশ স্মুথলি খেলা যায়। এই ফোনে ফিফা'১৪, অ্যাসফাল্ট ৮, ডিড ট্রিগার ২, মডার্ন কমব্যাট ৪, টেম্পল রান ২ প্রভৃতি জনপ্রিয় গেম কোন ধরণের ল্যাগিং ছাড়াই খেলা গেছে।
তরুণ প্রজন্মের স্মার্টফোন কেনার পেছনে গেমিংয়ের উদ্দেশ্যটাই মূখ্য ভূমিকা পালন করে। আর সেদিকে খেয়াল রেখেই হয়তো ওয়ালটন তাদের এই ফোনটি বাজারে এনেছে। অক্টাকোর প্রসেসরসমৃদ্ধ এই ফোনের গেমিং পারফরম্যান্স বেশ দারুণ। এছাড়া Primo S3 ফোনটিতে ২ গিগাবাইটের র্যাম থাকায় এতে বিভিন্ন ধরণের এইচডি গেম বেশ স্মুথলি খেলা যায়। এই ফোনে ফিফা'১৪, অ্যাসফাল্ট ৮, ডিড ট্রিগার ২, মডার্ন কমব্যাট ৪, টেম্পল রান ২ প্রভৃতি জনপ্রিয় গেম কোন ধরণের ল্যাগিং ছাড়াই খেলা গেছে।


কানেক্টিভিটিঃ
এই ফোনে ব্লুটুথ ৪.০, ওয়াইফাই, ওয়্যারলেস হটস্পট প্রভৃতি কানেক্টিভিটি সুবিধা রয়েছে। এছাড়া জিপিএস নেভিগেশন সুবিধাতো থাকছেই।
এই ফোনে ব্লুটুথ ৪.০, ওয়াইফাই, ওয়্যারলেস হটস্পট প্রভৃতি কানেক্টিভিটি সুবিধা রয়েছে। এছাড়া জিপিএস নেভিগেশন সুবিধাতো থাকছেই।
সিমঃ
ওয়ালটনের অধিকাংশ স্মার্টফোনের মতো প্রিমো এস থ্রি স্মার্টফোনটিতেও রয়েছে ২টি সিম ব্যবহারের সুবিধা, যার মধ্যে একটি মাইক্রো-সিম স্লট। উল্লেখ্য, এর উভয় সিম স্লটেই থ্রিজি সুবিধা উপভোগ করা যাবে ।
ওয়ালটনের অধিকাংশ স্মার্টফোনের মতো প্রিমো এস থ্রি স্মার্টফোনটিতেও রয়েছে ২টি সিম ব্যবহারের সুবিধা, যার মধ্যে একটি মাইক্রো-সিম স্লট। উল্লেখ্য, এর উভয় সিম স্লটেই থ্রিজি সুবিধা উপভোগ করা যাবে ।
ব্যাটারীঃ
৫ ইঞ্চি ডিসপ্লের Primo S3 এ ২,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারী ব্যবহার করা হয়েছে। এর ব্যাটারী ব্যাকআপ মোটামুটি মানের। একবার ফুল চার্জ দিলে টানা ৫ ঘণ্টারও অধিক সময় নেট চালানো যায়। এছাড়া একবার ফুল চার্জে টানা ৫-৬ ঘন্টা এইচডি ভিডিও দেখা যায়। তবে অক্টাকোর প্রসেসরের এই ফোনে আরেকটু বেশি মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারী দিলে তা আরও ভালো হতো।
৫ ইঞ্চি ডিসপ্লের Primo S3 এ ২,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারী ব্যবহার করা হয়েছে। এর ব্যাটারী ব্যাকআপ মোটামুটি মানের। একবার ফুল চার্জ দিলে টানা ৫ ঘণ্টারও অধিক সময় নেট চালানো যায়। এছাড়া একবার ফুল চার্জে টানা ৫-৬ ঘন্টা এইচডি ভিডিও দেখা যায়। তবে অক্টাকোর প্রসেসরের এই ফোনে আরেকটু বেশি মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারী দিলে তা আরও ভালো হতো।
ওটিজিঃ
ওয়ালটনের নতুন স্মার্টফোন Primo S3 এ OTG (USB On The Go) সুবিধা রয়েছে। ফলে ব্যবহারকারী এতে মাউস, কীবোর্ড, পেনড্রাইভ, এক্সটারনাল হার্ডডিস্কসহ বিভিন্ন ধরণের ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহার করতে পারবেন।
ওয়ালটনের নতুন স্মার্টফোন Primo S3 এ OTG (USB On The Go) সুবিধা রয়েছে। ফলে ব্যবহারকারী এতে মাউস, কীবোর্ড, পেনড্রাইভ, এক্সটারনাল হার্ডডিস্কসহ বিভিন্ন ধরণের ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহার করতে পারবেন।

বেঞ্চমার্কঃ
কোন ডিভাইসের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য সাধারণত বেঞ্চমার্ক স্কোর যাচাই করা হয়ে থাকে। Primo S3 এর বেঞ্চমার্ক স্কোর যাচাইয়ের জন্য বেঞ্চমার্ক যাচাইয়ের জনপ্রিয় অ্যাপ AnTuTu বেছে নেওয়া হয়েছিলো। AnTuTu তে এর স্কোর এসেছে ২৮১০৭ ।
কোন ডিভাইসের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য সাধারণত বেঞ্চমার্ক স্কোর যাচাই করা হয়ে থাকে। Primo S3 এর বেঞ্চমার্ক স্কোর যাচাইয়ের জন্য বেঞ্চমার্ক যাচাইয়ের জনপ্রিয় অ্যাপ AnTuTu বেছে নেওয়া হয়েছিলো। AnTuTu তে এর স্কোর এসেছে ২৮১০৭ ।

AnTuTu স্কোরের দিক থেকে Xiaomi Redmi Note, HTC One, Google Nexus 4 প্রভৃতির থেকে Primo S3 এগিয়ে রয়েছে ।
দেখুন Primo S3 ও Xiaomi Redmi Note এর তূলনামূলক AnTuTu স্কোরঃ

Primo S3 ও HTC One এর তূলনামূলক AnTuTu স্কোরঃ
বেঞ্চমার্ক যাচাইয়ের আরেক অ্যাপ NenaMark এ Primo S3 এর স্কোর এসেছে ৫৪.৪

স্পেশাল ফিচারঃ
এই ফোনে স্পেশাল ফিচার হিসেবে রয়েছে স্মার্ট কভার টেকনোলোজি ও Anti-Theft এর মতো বিশেষ নিরাপত্তা ফিচার। Anti-Theft ফিচারের সাহায্যে ব্যবহারকারী তার ফোন হারিয়ে গেলে দূর থেকেই ফোন লক, ডাটা মুছে ফেলা প্রভৃতি কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। উল্লেখ্য, এর আগে এই ফিচার ব্যবহার করতে বিভিন্ন ধরণের থার্ড-পার্টি অ্যাপের সাহায্য নিতে হতো।
এই ফোনে স্পেশাল ফিচার হিসেবে রয়েছে স্মার্ট কভার টেকনোলোজি ও Anti-Theft এর মতো বিশেষ নিরাপত্তা ফিচার। Anti-Theft ফিচারের সাহায্যে ব্যবহারকারী তার ফোন হারিয়ে গেলে দূর থেকেই ফোন লক, ডাটা মুছে ফেলা প্রভৃতি কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। উল্লেখ্য, এর আগে এই ফিচার ব্যবহার করতে বিভিন্ন ধরণের থার্ড-পার্টি অ্যাপের সাহায্য নিতে হতো।
মূল্যঃ
ক্রেতাদের সাধ্যের কথা বিবেচনা করে বেশ উন্নত কনফিগারেশনের Primo S3 স্মার্টফোনটির মূল্য ১৬,৩৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। স্পেসিফিকেশনের তুলনায় এই মূল্যকে বেশ সহনশীল বলতে হবে।
ক্রেতাদের সাধ্যের কথা বিবেচনা করে বেশ উন্নত কনফিগারেশনের Primo S3 স্মার্টফোনটির মূল্য ১৬,৩৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। স্পেসিফিকেশনের তুলনায় এই মূল্যকে বেশ সহনশীল বলতে হবে।

Primo S3 এর ভালো লাগার দিকসমূহঃ
- ২ গিগাবাইটের র্যাম
- অক্টাকোর প্রসেসর
- মালি ৪৫০ জিপিউ
- ভালো ক্যামেরা পারফরম্যান্স
Primo S3 এর সীমাবদ্ধতাঃ
উন্নত কনফিগারেশন কিন্তু স্বল্পমূল্যের Primo S3 স্মার্টফোনটিতে উল্লেখযোগ্য কোন সীমাবদ্ধতা চোখে পড়েনি। তবে এতে মিডিয়াটেক চিপসেট ব্যবহার না করে কোয়ালকমের শক্তিশালী চিপসেট ব্যবহার করা হলে এর পারফরম্যান্স হয়তো আরো উন্নত হতো। এছাড়া এর ব্যাটারীটা আরেকটু অধিক মিলিঅ্যাম্পিয়ারের হলে ব্যবহারকারীদের বেশ সুবিধা হতো ।
উন্নত কনফিগারেশন কিন্তু স্বল্পমূল্যের Primo S3 স্মার্টফোনটিতে উল্লেখযোগ্য কোন সীমাবদ্ধতা চোখে পড়েনি। তবে এতে মিডিয়াটেক চিপসেট ব্যবহার না করে কোয়ালকমের শক্তিশালী চিপসেট ব্যবহার করা হলে এর পারফরম্যান্স হয়তো আরো উন্নত হতো। এছাড়া এর ব্যাটারীটা আরেকটু অধিক মিলিঅ্যাম্পিয়ারের হলে ব্যবহারকারীদের বেশ সুবিধা হতো ।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্তঃ
যারা র্যামকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্টফোন কিনতে চান, সেইসাথে চান স্মার্টফোনের মূল্যটাও যেনো থাকে হাতের নাগালে, তাদের জন্য Primo S3 হতে পারে আদর্শ পছন্দ। এর থেকে কমমূল্যে বর্তমানে দেশের বাজারে আর কোন ২ গিগাবাইট র্যামের স্মার্টফোন নেই। এককথায় বলতে গেলে বলা যায় - স্পেসিফিকেশন, মূল্য, পারফরম্যান্স প্রভৃতি দিক বিবেচনায় এই প্রাইস রেঞ্জে কিংবা তার থেকে কিছুটা বেশি মূল্যেও Primo S3 এর থেকে ভালো ফোন এই মুহূর্তে দেশের বাজারে পাওয়া সম্ভব নয়।
যারা র্যামকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্টফোন কিনতে চান, সেইসাথে চান স্মার্টফোনের মূল্যটাও যেনো থাকে হাতের নাগালে, তাদের জন্য Primo S3 হতে পারে আদর্শ পছন্দ। এর থেকে কমমূল্যে বর্তমানে দেশের বাজারে আর কোন ২ গিগাবাইট র্যামের স্মার্টফোন নেই। এককথায় বলতে গেলে বলা যায় - স্পেসিফিকেশন, মূল্য, পারফরম্যান্স প্রভৃতি দিক বিবেচনায় এই প্রাইস রেঞ্জে কিংবা তার থেকে কিছুটা বেশি মূল্যেও Primo S3 এর থেকে ভালো ফোন এই মুহূর্তে দেশের বাজারে পাওয়া সম্ভব নয়।
দেশীয় ক্রেতাদের হাতে সুলভ মূল্যে অপেক্ষাকৃত মানসম্পন্ন স্মার্টফোন তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে ওয়ালটন তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য। ভবিষ্যতে আরও উন্নত কনফিগারেশনের স্মার্টফোন সুলভমূল্যে বাজারে আনবে ওয়ালটন – এমনটাই প্রত্যাশা।
Primo S3 সম্পর্কে আপনাদের মূল্যবান প্রশ্ন কিংবা মন্তব্য কমেন্টে লিখুন। নতুন কোন স্মার্টফোনের হ্যান্ডস-অন রিভিউ নিয়ে আবারও দেখা হবে আপনাদের সাথে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন